
রূপকথার গল্প কাহিনী কিংবা ঠাকুরমার ঝুঁলির কোন কিচ্ছা কাহিনী আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করছিনা।আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করছি বাস্তব কিছু গল্প কাহিনী।ঈদ কিংবা বিশেষ কোন অনুষ্ঠান আসলেই সাভার,আশুলিয়া,কাশিমপুর এলাকায় কিছু কথিত সাংবাদিক’রা শুরু করে ডিজিটাল ভিক্ষাবৃত্তি।তাদের ভিক্ষাবৃত্তির জ্বালায় অতিষ্ঠ নগরবাসী।তাদের হাত থেকে রক্ষা পায় না রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাসহ ছোট বড় বিভিন্ন কোম্পানির কর্তা বাবুরা।
ঈদ কিংবা বিশেষ কোন অনুষ্ঠান আসলে তাদের এই চাঁদাবাজি তথা ডিজিটাল ভিক্ষাবৃত্তি যেন দ্বিগুন হারে বৃদ্ধি পায়।যখন একশ্রেণীর সাংবাদিকরা খেয়ে না খেয়ে জীবনের মায়া ত্যাগ করে পরিবারের কথা চিন্তা না করে রাতদিন ২৪ ঘন্টা মাঠে ব্যস্ত সময় পার করে ঘরমুখী মানুষদের সকল তথ্য চিত্র পত্রিকা কিংবা টেলিভিশনের পর্দার মাধ্যমে জাতির সামনে তুলে ধরতে ঠিক তখনই কথিত সাংবাদিকরা ব্যস্ত হয়ে পড়ে ডিজিটাল ভিক্ষাবৃত্তির কাজে।
মাস যায় বছর যায় যুগ পেরিয়ে যায় তারপরও তাদের নেই কোন সংবাদ পত্র-পত্রিকার পাতায়। তারপরও তারা প্রেস আইডি কার্ড গলায় ঝুলিয়ে ঘুরে বেড়ায় নিজেদের সাংবাদিক দাবি করে যা বড়ই লজ্জাজনক।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায় সাভার-আশুলিয়ার কাশিমপুরের ৭০% কথিত সাংবাদিকরা মূর্খ তারা স্কুলের গন্ডি ও পার হতে পারেনি।এমন কি তারা তাদের নাম ঠিকানা মাতৃভাষা বাংলায় ও লিখতে পারেনা। ইংলিশ তো অনেক দূরের কথা! তারা নিজেদের জাতির সামনে সাংবাদিক পরিচয় করিয়ে হয়ে ক্ষান্ত হননি,রীতিমতো তারা সাংবাদিক সংগঠন গুলোর নেতাও।সাভার, আশুলিয়া, কাশিমপুরের সাংবাদিকদের মাদার সংগঠন “প্রেসক্লাবের” সাংবাদিক নেতা হিসাবে চেয়ার দখল করে নিয়ে আছেন এসব ভূয়া সাংবাদিকরা।আর এখানে একই সংগঠনের ৩জন সভাপতি হিসাবে নিজেদের পরিচয় দেন বিভিন্ন জায়গায় আরও বেশি লজ্জাজনক বিষয়।
এদের দৌরাত্ম্য এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে তাই তারা দিনে রাতে ২/১ শত টাকা লোভে দৌঁড়িয়ে চলে বিদ্যুৎ গতিতে।তাদের টার্গেট প্রতিদিন ৫০০/-থেকে ১ হাজার টাকা বাসায় নিয়ে যেতে হবে আর এগুলোই নাকি তাদের সাংবাদিকতা।
গভীরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় এরা বেশিরভাগ অশিক্ষিত।শুধু অশিক্ষিতই নয়,কেউ গার্মেন্টস কর্মী,কেউ অটোচালক ,কেউ পত্রিকার হকার,কেউ মাছ বিক্রেতা, কেউ লেগুনার ড্রাইভার,কেউ রিক্সার ড্রাইভার,মাদকসেবী,মাদক ব্যবসায়ী,অপহরণকারী,কেউ মুদির দোকানদার,চা,পান,সিগারেট এসবের দোকানদার কেউ বা রাজনীতিতে সফল হতে না পেরে যুবলীগ,শ্রমিকলীগ, হকার্স.লীগ ইত্যাদি বিভিন্ন লীগ হতে উঠে এসেছে।
আসলে দিন শেষে তারা নিজেদের আখের গুছাইতে সেখান থেকে উঠে এসেছে সাংবাদিকতার মত মহান পেশায়।আর তাদের এ টাকার বিনিময়ে এ পেশায় প্রবেশ করিয়েছে ছাগল মার্কা কিছু কথিত সম্পাদক।
তারা গার্মেন্টসে চাকুরী করার পাশাপাশি কথিত সাংবাদিকতা করেন পার্ট টাইম হিসেবে।আজ তাদের কারনে সাভার,আশুলিয়া,কাশিমপুরের সাংবাদিকতা কলুষি হয়েছে। এখানে অটো ড্রাইভার,মোদির দোকানী,কামার,কুমার,তাঁতি, মাদকসেবী,মাছ বিক্রেতা,লেগুনা চালক,শ্রমিক লীগ নেতা,কৃষক লীগ নেতা এরাও হয়েছে সাংবাদিক।
এদের হাত থেকে গণমাধ্যম অঙ্গনকে রক্ষা করতে মূলধারার সাংবাদিকদের এখনই সময় জেগে ওঠার।নয়তো এরা গণমাধ্যম অঙ্গন কে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে অতি দ্রুতই।আসুন আমরা সবাই মিলে এদের হাত থেকে অঙ্গনকে রক্ষা করি। গণমাধ্যম দেশের চতুর্থ স্তম্ভ, তাই গণমাধ্যমকে রক্ষা করা আমার আপনার আমাদের সকলের দায়িত্ব।