
কবিতা ঃ সমাজের উঁচু জাত!
কলমে ঃ দেবিকা রানী হালদার।
তাং ঃ
আমি চলতে চলতে থমকে গেছি
হাতটা ধরো কেউ!
আমার ক্লান্তশ্রান্ত ঘর্মাক্ত দেহ
দরকার, সাগর জলের ঢেউ!
এ সমাজে সব ভালোবাসাহীন হৃদয় নিয়ে
প্রেমিক প্রেম যাচে!
মিষ্টি কিছু বুলি আওড়িয়ে
আসতে চায় সে কাছে!
ভেজাল প্রেম দেহ স্বর্গোদ্যান প্রণয়
ক্লান্ত আছি রোজ!
জয়গুন, মীনা ক্ষুধার্ত মা-মেয়ে
নেয় না কেউ তাদের খোঁজ !
ভাঙা ঘরে বৃষ্টি পড়ে
উঁচু জাতেরা এইঘরে ই এসে ফূর্তি করে!
রাতে যারা হাতরায় গতর আটা চাল দিয়ে
দিনে তারা একঘরে করে, বেশ্যা কয়ে শতবার বরে!
বেশ্যা নামের খেতাব খানা
ওদের কাছেই পাওয়া!
সমাজে তাদের সামনের কাতার
পূজা মন্ডবে আগে প্রসাদ, হরি হরি গাওয়া!
দোমুখো সাপ এ সমাজে দেখছি জীবন ভর
বিদগ্ধ বিস্মিত শুনে নারীকে গালি তুলে জাতপাত!
সবাই ছুঁতে চায় শুধু নরম গতর
ভাবে না কেউ নারী দেবী, একই মায়ের জাত!
সারারাতের খরিদ্দার রা বসায় দিনে সালিশ
গ্রাম গাঁয়ে ছিনালি জাতধর্ম গেলো সব!
বিচারে শত বেত্রাঘাত, কপালে লোহা পোড়া শেক
নির্বাক জয়গুন, রাতে দেহ ভোগী মোড়ল মেরে করলো ‘শব’ !
ক্যাপশন ঃঃছবি সাংবাদিক ,কবি, মাধুরী বসু