
সুদীপ্ত মিস্ত্রী ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি।
আজ ১৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ও ৩রা আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বকর্মা পূজা। খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মাদারতলা বাজারের সকল ব্যবসায়ীবৃন্দ মিলে মহা সমারহে এ দিনটি উদযাপন করেছেন। বাজার কমিটির সভাপতি ও ৭ নং শোভনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব সুরন্জিৎ কুমার বৈদ্য ও ৭ নং শোভনা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ৯ ওয়ার্ড সদস্য ও বাজার কমিটির সেক্রেটারি জনাব দেবব্রত কুমার সরদারের দিক নির্দেশনার সফল ভাবে বাজারের বিশ্বকর্মা পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পল্লী শ্রী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও ধর্মপ্রাণ ব্যাক্তিত্ব জনাব নারায়ন চন্দ্র মন্ডল বলেন,বিশ্বকর্মা পূজা বা বিশ্বকর্মা জয়ন্তী হচ্ছে একটি হিন্দুধর্মীয় উৎসব। হিন্দু স্থাপত্য দেবতা বিশ্বকর্মার সন্তুষ্টি লাভের আশায় এই পূজা করা হয়। তাকে স্বয়ম্ভু এবং বিশ্বের স্রষ্টা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তিনি দেবতা কৃষ্ণের রাজধানী দ্বারকা শহরটি নির্মাণ করেছিলেন। এছাড়াও তিনি রামায়ণে বর্ণিত লঙ্কা নগরী, পাণ্ডবদের মায়া সভা, রামায়ণে উল্লিখিত ব্রহ্মার পুষ্পক রথ, দেবতাদের বিভিন্ন গমনাগমনের জন্য বিভিন্ন বাহন, দেবপুরী এবং বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র, শিব এর ত্রিশূল, কুবের এর অস্ত্র, ইন্দ্রের বজ্র, কার্তিকের শক্তি সহ দেবতাদের জন্য বহু কল্পিত অস্ত্রের স্রষ্টা।
বিশ্বকর্মার ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে তিনি এই বিশ্বের সব কর্মের সম্পাদক। তিনি সব ধরনের শিল্পের প্রকাশক। শিল্পবিদ্যায় বিশ্বকর্মার রয়েছে একচ্ছত্র অধিকার। তিনি নিজেই চতুঃষষ্টিকলা, স্থাপত্যবেদ এবং উপবেদ এর প্রকাশক। কথিত আছে, পুরীর বিখ্যাত জগন্নাথমূর্তিও তিনিই নির্মাণ করেন। তাকে স্বর্গীয় সূত্রধরও বলা হয়।
মাদারতলা বাজারের সকল মেশিনারি,দর্জি,মুদি,রাইচ মিল,ডেকোরেটর ,মাছের আড়ৎ সহ বিভিন্ন স্থান ভেদে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় এ পূজা সম্পন্ন করা হয়। ও পূজার শেষে উপস্থিত সকল ভক্তবৃন্দের মাঝে প্রসাদ বিতরন করা হয়।