
সুদীপ্ত মিস্ত্রী ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি।
দশ হাতে দশ ভুজা নিয়ে আগমন ঘটছে দেবী দুর্গার। প্রকৃতিও যেন জানান দিচ্ছে সেই বার্তা। আকাশের নীল ও মেঘ এবং জমিনের সাদা কাশফুল যেন তারই আগমনী গান গাচ্ছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। সেই পূজা উপলক্ষে খুলনার ডুমুরিয়াতেও চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। আগামী ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহত অনুষ্ঠান শারদীয় দূর্গাউৎসব। এ উৎসবকে ঘিরে খুলনার ডুমুরিয়ায় শেষ মুহুর্তে প্রতিমার রং তুলি সাজ সজ্জা ও নজর কাড়া প্যান্ডেল তৈরি কাজে ব্যাস্ত সময় পার করছে মৃৎ শিল্পী ও কারিগররা।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের প্রচার সম্পাদক জনাব উওম কুমার বিশ্বাস বলেছেন, উপজেলায় এবছর মোট ২১৪ টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ১ নং ধামালিয় ইউনিয়নে ৯ টি,২ নং রঘুনাথপুর ইউনিয়নে ২৩ টি,৩ নং রুদাঘরা ইউনিয়নে ১২ টি,৪ নং খর্নিয়া ইউনিয়নে ১৬ টি,৫ নং আটলিয়া ইউনিয়নে ২৫ টি,৬ নং মাগুরাঘোনা ইউনিয়নে ৮ টি,৭ নং শোভনা ইউনিয়নে ১৭ টি,৮ নং শরাফপুর ইউনিয়নে ১৩ টি,৯ নং সাহস ইউনিয়নে ৭ টি,১০ নং ভান্ডারপাড়া ইউনিয়নে ১৩ টি,১১ নং ডুমুরিয়া ইউনিয়নে ১২ টি,১২ নং রংপুর ইউনিয়নে ২৭ টি,১৩ নং গুটুদিয়া ইউনিয়নে ১৭ টি,১৪ নং মাগুরখালী ইউনিয়নে ১৫ টি মন্ডপে শারদীয়া দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
৭ নং শোভনা ইউনিয়নের মাদারতলা বাজারে পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি জনাব দীপক কুমার মিস্ত্রী বলেছেন, এবছর ভিন্ন আঙ্গিকে প্রতিদিন অনুষ্ঠান মালা সাজানো হয়েছে,
মহাসপ্তমীতে সন্ধ্যায় আরতি প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ। রাত ৯টায় : সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা, পরিবেশনায় : রংপুর একাডেমী।
মহা অষ্টমীতে, সকাল ১১টায় : শ্রীমদ্ভগবত গীতা থেকে পাঠ ও আলোচনা প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান পরিচালনায় : শ্রী অতুল কৃষ্ণ মিস্ত্রী, অবঃ শিঃ, শ্ৰী ক্ষিতীষ চন্দ্র রায়, অবঃ শিঃ, শ্রী নারায়ন চন্দ্র মণ্ডল, অবঃ শিঃ, সন্ধ্যায় আরতি প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ।
রাত ৯টায় : যাত্রাপালা ‘মানবী দেবী শ্রেষ্ঠাংশে,গায়ক-নায়ক কুমার দেবু ও গায়িকা-নায়িকা বাসন্তি সাহা।
মহানবমীতে সকাল ১১টায় : শ্রীমদ্ভগবত গীতা থেকে পাঠ ও আলোচনা প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান সন্ধ্যায় : আরতি প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ। রাত ৯টায় : ‘কনসার্ট’ পরিবেশনায় : সাতক্ষীরা একাডেমী।
বিজয়া দশমীতে রাত ৮টায় : “মেগা কনসার্ট পরিবেশনায় : খুলনা ও ঢাকা শিল্পীবৃন্দ।
মঙ্গলবার (২৪ শে অক্টোবর) বিজয়া দশমীর পূজার পরে মায়ের বিসর্জনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান পর্ব শেষ হবে।