
রনিকা বসু (মাধুরী)
স্টাফ রিপোর্টার:
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) পরিমল কান্তি শিকদার এর বিরুদ্ধে ০৭নং চিংগড়ী ও ১৩নং চর শৈলদাহ মৌজায় বে-আইনী কার্যকলাপ, খাস জমি রেকর্ড, পাবলিকের নামে রেকর্ড দান, রেকর্ডপত্রে টেম্পারিং, সিপি জালিয়াতি ও তামাদি কেস রিসিট, ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ, চর শৈলদাহ মৌজায় বদর ও প্লট সংশোধনের জন্য প্রত্যেক ভূমি মালিকদের নিকট থেকে ৫ হাজার করে টাকা গ্রহণ করলেও কোন রিসিট দেন নাই এবং ৩০ ধারা চলাকালে ভূমি মালিকদের নিকট থেকে হাজার হাজার টাকা ঘুষ বাণিজ্য করেছেন। ভূমিহীন হেমায়েত মোড়লকে ভূমিহীন দলিল দেবার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ ঘুষ গ্রহণ করেন, চর শৈলদাহ মৌজায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ওয়াবদার জায়গা টাকার বিনিময়ে পাবলিকের নামে রেকর্ড করে দেন, চিংগড়ী মৌজার ৪৯২নং দাগের ১০ একর ৭০ শতক সরকারী খাস খতিয়ানের জমি ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে চলমান জরিপে পাবলিকের নামে একটি বাটা খতিয়ান খুলিয়াছেন এবং চিংগড়ী মৌজার সমস্ত রেকর্ড বই নিজের ভাড়া বাসায় নিয়ে রাতের আঁধারে একটি দালাল চক্রের মাধ্যমে অসহায় ভূমি মালিকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহন করে কাটা, ছেড়া, টেম্পারিং করার অভিযোগ এনে ৩৫ জন ভুক্তভোগীগণ মহাপরিচালক, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর তেজগাও সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন। উক্ত সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) পরিমল কান্তি শিকদার এর বিরুদ্ধে এছাড়াও অত্র উপজেলার বিভিন্ন মৌজার শত শত অসহায় ভূমি মালিকদের নিকট থেকে মোটা অংকের ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র থেকে জানাগেছে, ঘুষ ছাড়া কাজ করেন না পরিমল কান্তি শিকদার, তার হাত থেকে রা পাইনি সরকারী সম্পত্তিও। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সরকারী জমি পাবলিকের নামে রেকর্ড করে দিয়েছেন। তার এ ঘুষ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে এ উপজেলার ৩৫জন ভূমি মালিক সুন্দবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ০৩ সেপ্টেম্বর/২৩ তারিখে ২টি অভিযোগ প্রেরণ করেছেন, যার রশিদ নং- এ ২২৭১৬৪৫০, এ ২২৭১৬৪৪৯।
ভুক্তভোগী মোতাহার মোলা, এস এম জাকির হোসেন, ইসমাইল ফরাজী সহ আরো অনেকে কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, আমাদের জায়গাজমি সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) পরিমল বাবু মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন মানুষের নামে রেকর্ড করাইয়া দিয়েছেন। এতে আমরা অপুরনীয় তির সম্মুখীন হচ্ছি। উক্ত অফিসারের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীগণ আইনী প্রক্রিয়ায় বিভাগীয় মামলা রুজু করত: পেনশন ভাতা বন্ধের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপরে দৃষ্টি করেছেন।
এ ব্যপারে সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) পরিমল কান্তি শিকদার এর সাথে মুঠোফোনে আলাপ হলে তিনি জানান, আমি কোন দুর্নীতি করি নাই। আমার সম্মান ুন্ন করার জন্য কিছু মানুষ চেষ্টা করিতেছে। আমি এখানে দীর্ঘদিন চাকুরী করিতেছি, আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নাই।
এ ব্যপারে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার (খুলনা জোন) রাজীব আহম্মেদ এর সাথে মুঠোফোনে আলাপ হলে তিনি জানান, আমি এখনও কোন অভিযোগ হাতে পাইনি।