
মীরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
মীরসরাইয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে স্থাপনা নির্মাণ করায় ২২টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ২নং হিঙ্গুলী ইউনিয়নের পুর্ব হিঙ্গুলী কদমতলা এলাকার (সুলতান সওদগর বাড়ির) প্রায় ১০০ বছরের চলাচলের রাস্তা দখল করে বাড়িতে প্রবেশের পথ আটকে স্থাপনা নির্মাণ করায় যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে ওই পরিবারগুলোর।
ভুক্তভোগী আবিয়া খাতুন,হালিমা আক্তার, রোকেয়া আক্তার সহ ২২টি পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, স্বাধীনতার যুদ্ধের আগে থেকে আমরা এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে আসছি। এই বাড়ির ২২টি পরিবারের ঘর বাড়ি নির্মাণ সামগ্রী এই রাস্তা দিয়ে আনা নেওয়া হতো। সম্প্রতি আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি রবিউল হোসেন নামে এক ব্যাক্তি নিজের ক্রয়কৃত জায়গা দাবী করে একটি টিনশীট ঘর নির্মাণ করে এবং টিনের বেড়া চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেন। বর্তমানে এই বাড়ির ২২টি পরিবার খুবই মানবেত জীবন যাপন করতেছে।
বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলেও প্রভাবশালী রবিউল হোসেন কর্ণপাত না করে স্থাপনা রেখে দেন।
প্রবীণ ব্যাক্তি নুরুল আমিন জানান, বর্তমানে বাড়িতে প্রবেশের পথ একেবারেই বন্ধ করে দেয়ায় দৈনন্দিন কাজ কর্মের জন্য ঘর থেকে বের হওয়া এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল আনা নেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় কোন প্রকার দুর্যোগ কিংবা দুর্ঘটনা ঘটলে, কেউ অসুস্থ হলে কোন প্রকার অ্যাম্বুল্যান্স বা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি অথবা কোন চিকিৎসক, উদ্ধারকর্মী যাতায়াত করতে পারবেন না।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রবিউল হোসেন নিজের জায়গা দাবী কওে বলেন, আমার ক্রয়কৃত জায়গায় আমি স্থাপনা নির্মাণ করেছি।
এদিকে ঐ জায়গার বিক্রেতা মনির আহম্মদ বলেন,আমার বাবা চলাচলের সুবিধাস্থে যাতায়তের সুব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। এখন আমি আমার জায়গা বিক্রি করে দিয়েছি। উনারা কেন বন্ধ করছে সেটা উনাদের ব্যাপার।
এই বিষয়ে হিঙ্গুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোনা মিয়া বলেন, সুলতান সওদগর বাড়ির রাস্তা বন্ধ করে স্থাপনা নির্মাণ বিষয়টি আমি জানি না। হয়তো মেম্বারকে জানিয়েছে।
এই বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন বলেন, চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার প্রতিবন্ধকতা তৈরির সুযোগ নেই। অভিযোগ পেলে সরেজমিনে গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।