
জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি পৌরসভার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী রেজাউল করিম (গাজী) কর্তৃক সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পৌর কমিশনার ও সাবেক পাঁচবিবি পৌর মহিলা লীগের সভানেত্রী নাসরিন আক্তার শিল্পীকে অপদস্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার সুষ্ঠ বিচার চেয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে পাঁচবিবির বাসভবনে এই সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখত বক্তব্যে তিঁনি বলেন, আমি পাঁচবিবিত পৌরসভার সৃষ্টি লগ্ন থেকে দীর্ঘ ১০ বছর কাউন্সিলর ও পরে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সফল ভাবে দায়িত্ব পালন করেছি । এছাড়া মহিলা লীগের পাঁচবিবি পৌর শাখার সভানেত্রী ছিলাম। আমার স্বামী অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা, কবি সাহিত্যিক ও দৈনিক প্রথম আলোর সাবেক উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন। বর্তমানে সে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে বাসায় অচল হয়ে পড়ে আছে । আমার দু ছেলে জাপান ও এক ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে । বাসায় আমরা দুজনেই থাকি । গত (১৭ আগষ্ট) আমার বাসার পিছনে গেটে আমার নিজস্ব সীমানায় চলাচলের জন্য কিছু ইটের টুকরা দেই । এঅবস্থায় আমাকে না জানিয়ে পৌরসভার কর্মচারী আঃ মান্নান উক্ত ইটের টুকরা গুলো তুলে নিতে থাকলে আমি বাধা দেই। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন করে। গত (২১ আগষ্ট) পৌরসভার আরেক কর্মচারী গাজীকে নিয়ে এসে ওসব পুনুরায় তুলে নিতে থাকে। এসময় আমি বাধা দিলে সেও খারাপ আচরন করলে আমি তাকে চলে যেতে বলি । তারা উভয় মিলে আমাকে অকথ্য ভাষায় কথা বলে ও মান্নান কোদাল নিয়ে তেড়ে আসে । এসময় আমি তাকে ধাক্কা দিয়ে বাসার ভিতর চলে আসি। এর পর সে আমার প্রতিবেশী স্বর্নকার রাজুর ইন্ধনে আমার নামে থানায় উল্টা অভিযোগ করেছে বলে জানতে পারি। বর্তমানে আমি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি । তিঁনি আরো বলেন, আমি দীর্ঘ দিন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসাবে জনসেবার করার পর পৌরসভার সামান্য দুই কর্মচারী স্হানীয় একজন কুচক্রীর মদদে আমাকে অপদস্ত ও আমার উপর জুলুম করার জন্য তীব্র ক্ষোভ ও তাদের বিচার দাবি করছি । এ বিষয়ে আঃ মান্নানের কাছে জানতে চাইলে তিঁনি বলেন, আমি কর্মচারী, আমাকে যা নির্দেশ দিয়েছে আমি সেটাই করেছি, কিন্তু আমাকে ওই মহিলা থাপ্পড় মেরেছে। গাজীর মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।