
ফেনী প্রতিনিধি,
ফেনীতে প্রথম বিয়ের কথা গোপন করে দ্বিতীয় বিয়ে, মারধর করে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন, যৌতুক দাবির অভিযোগে কাজী মেহেদী হাসান রুবেল (৩০) নামে এক প্রবাসীর বিরুদ্ধে তার দুই স্ত্রী নারী ও শিশু নির্যাতন এবং যৌতুক আইনে পৃথক মামলা দায়ের করেন। এ দুই মামলার একটিতে রুবেলের বিরুদ্ধে ১ বছরের সাজা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও দীর্ঘ দিন ধরে প্রবাসে থাকায় পুলিশও তাকে খুঁজে পাচ্ছিল না। বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে ৬ মে (শনিবার) সন্ধ্যায় তাকে পুলিশের হাতে ধরা পড়তে হয়েছে। ফেনী সদর থানার আওতাধীন বোগদাদিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একটি টীম কাজী মেহেদী হাসান রুবেলকে ফাজিলপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার কাজী মেহেদী হাসান রুবেল ফেনীর জেলার সদর থানার লেমুয়া এলাকার কাজী বাড়ির আজিজুল হকের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাজী মেহেদী হাসান রুবেল প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। পরবর্তীতে তাদের সংসারে কলহ দেখা দিলে প্রথম স্ত্রীর উপর নির্যাতন চালায় রুবেল। নির্যাতনের অভিযোগ তুলে প্রথম স্ত্রী তার বিরুদ্ধে ফেনীর আদলাতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। অন্যদিকে প্রথম বিয়ের কথা গোপন করে বিয়ে ও যৌতুক দাবি করায় দ্বিতীয় স্ত্রীও তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। তন্মেধ্যে ফেনী জেলা আদালতে প্রথম স্ত্রীর করা মামলায় মেহেদী হাসানের ১ বছরের সাজা হয় এবং চট্টগ্রাম আদলাতে দ্বিতীয় স্ত্রীর করা মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে বোগদাদিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মোঃ হানিফ আসামী কাজী মেহেদী হাসান রুবেলকে আটক করেন।
সম্প্রতি রুবেল প্রবাস থেকে দেশে এসেছিলেন বলেও জানা যায়।
বোগদাদিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শাহাদাত হোসেন বলেন, কাজী মেহেদী হাসান রুবেল নামে একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একটি মামলায় ১ বছরের সাজা ও অন্য একটি মামলায় ওয়ারেন্ট জারি ছিল।