
নুরুজ্জামান লিটন,বদলগাছী উপজেলা প্রতিনিধি, নওগাঁ
নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার ঐতিহাসিক পাহাড়পুর ইউপির উত্তররামপুর গ্রামের মৃত কলিমউদ্দিন সরদারের ছেলে মো: সুমন হোসেন (৩৫) পাঁচ বছর ধরে আছেন ইরাকে।
গত ২২ মে,২০২৩ তারিখে তার ইমো আইডি থেকে স্ত্রীর কাছে মেসেজ পাঠানো হয়, ‘তার স্বামীকে ইরাকের পুলিশ আটক করেছে। তার নগদ অর্থের প্রয়োজন।সেই টাকা পুলিশকে দিলে ইরাকের পুলিশ তার স্বামীকে ছেড়ে দিবে।টাকা পাঠানোর জন্য বিকাশ নম্বরও দেওয়া হয়।’ ওই নারী তাদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে তিন বারে মোট ৪৫ হাজার টাকা পাঠানোর কিছু পর আবার ও ১৫ হাজার টাকা চাওয়া হয়,সেই টাকা ও পাঠাতে গেলে তার পরিচিত একজন বিকাশ এজেন্টের সন্দেহ হলে টাকার পাঠানোর বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি সব খুলে বলেন।এরপরে সবাই বুঝতে পারেন, সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র তার স্বামীর ইমো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এ বিষয়ে বদলগাছী থানায় ভুক্তভোগী নারী সাধারণ ডায়েরি করেন।যেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন যে,আমি মোছাঃ মোসলেমা আক্তার (২৯) স্বামী- মোঃ আবু তোয়ার সুমন, সাং- উত্তররামপুর, ইউপিঃ পাহাড়পুর, থানাঃ বদলগাছী, জেলাঃ নওগাঁ থানায় আসিয়া এই মর্মে সাধারণ ডায়েরীর আবেদন করিতেছি যে, আমার স্বামী মোঃ আবু তোয়াব সুমন সে গত ৫ বছর যাবৎ ইরাক দেশে (বিদেশ) আছে। গত ২২মে,২০২৩ তারিখ বেলা অনুমান সাড়ে ১১ ঘটিকার সময় আমি জামালগঞ্জ বাজারে ছিলাম। আমার স্বামীর ইমু নম্বরটি কে বা কাহারা অজ্ঞাতনামা হেকার হ্যাক করে নিয়ে নেয় এবং আমার স্বামীর উক্ত একাউন্ট দিয়ে আমার ইমু নম্বরে আমার স্বামীর পূর্বের দেওয়া ভয়েচ পাঠিয়ে দেয় এবং আমার থেকে প্রতারণা করে আমার স্বামীর পরিচয় দিয়ে আমাকে বলে যে, আমাকে ইরাক দেশের (বিদেশের) পুলিশ ধরেছে বলে আমার নিকট থেকে তিন বারে বিকাশ প্রতারকের নম্বর ০১৮৬৭৩৯১৫০৩ তে আমার দেওয়া তিনবারে মোট (২৫,০০০+১৫,০০০+৫০০০) =৪৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয়।পরে আমি আমার স্বামীর সাথে কথা বলিলে জানতে পারি যে, কে বা কাহারা আমার স্বামীর উক্ত ইমু একাউন্ট নম্বর টি হ্যাক করে নিয়ে নেয়।
এ ব্যপারে ২৭ মে,শনিবার বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিয়ার রহমানকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান,এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। প্রতারক চক্রকে শনাক্তকরণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।