মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৫, ২০২৩

বাংলাদেশের হিন্দু জনসংখ্যা কি কমছে

আপডেট:

লেখক ঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।

তাং ঃ ২৩.০৬.২০২৩

বিজ্ঞাপন

১৮০০ A D তে বৃহত্তর বাংলার বাঙালি জনসংখ্যা ছিলো

১৯ মিলিয়ন। তার মধ্যে পূর্ব অংশে মুসলমান বেশী পশ্চিম অংশে হিন্দু বেশী এবং এজন্য লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন, জিন্নাহ পূর্ববাংলা কে পশ্চিম পাকিস্তানের লেজে বাঁধতে পারছিলেন! তখন পূর্ববাংলায় সম্ভবত (কোন বিদেশি হিস্টিরিয়ানের বইয়ে পড়েছি ৩৯% হিন্দু ও ৬১% মুসলমান ছিলো not authentic).

বিজ্ঞাপন

এরপর হিন্দুরা চলে যেতে থাকে বিভিন্ন কারনে যারা বাপদাদার ভিটা ছেড়ে ১৯৪৭ এ যায় নাই তারাও যেতে থাকে কারন পশ্চিম পাকিস্তানের অতি গোঁড়া মুসলমানরা বাঙালিদের ভালো মুসলমান ভাবতো না কারন বাঙালিরা আজীবন প্রোগ্রেসিভ। তারা যেমন বাঙালি তেমনি মুসলমান /হিন্দু ছিলো! দার্শনিক ‘গোখলে’ বলেছেন, “বাঙালি আজ যা ভাবে সারা ভারত তা এক সপ্তাহ পর ভাবে”! এমন বাঙালি কে পিছে টানতে এদেশে এখন ও কিছু সো কল্ড বাঙালি মুসলমান আছেন যারা সব জায়গায় ধর্ম টেনে এখনও সূর্য পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে আপনাকে বুঝাবে!

 

যে পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি ভাল ধার্মিক না, সাহসী না বলে বাঙালিদের সেনাবাহিনীতে নেয়া হতো না, হিন্দু হলে তো কথা নাই, রবীন্দ্র সঙ্গীত অশ্লীল বলে প্রচার মাধ্যমে বন্ধ সে সব দেখে হিন্দুরা অন্ধকার ভবিষ্যৎ বুঝে চলে যেতে থাকে। এখন ও এদেশে এমন গোড়ামি আছে, টেলিভিশন হারাম, পুরুষ ফুটবল খেলা পর্যন্ত হারাম সেখানে প্রগতিশীল লোকদের জায়গা কোথায়!

বিশ্ব মিশাইল বানায় এরা বলে ” সব দখল করবে ইমাম মেহেদী এসে, কিছু শেখার দরকার নাই। একই মুসলমান ইরানের তারা কুরআন বুঝেন এবং মিশাইল ড্রোনের বাবা প্রযুক্তি তৈরি করে আমেরিকার মাথায় ঘামায় ফেলেছে!

১৯৬৫ সালের পাক ভারত যুদ্ধে কিছু হিন্দু চলে গেছেন কারন তারা ছিলেন আসল শিক্ষিত স্কুল কলেজ শিক্ষক, তারা দেখেছেন, “পূর্বপাকিস্তান অরক্ষিত, ঢাল নাই তলোয়ার নাই ” তাই কিছু প্রগতিশীল হিন্দু চলে যান ঐ সময়!

 

১৯৭১ সালে হিন্দু নিধন হয়েছে ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ই ডিসেম্বর পর্যন্ত! এক কোটি শরনার্থীর ৮০% হিন্দু, সবাই ফিরে আসেন নাই। ১৯৭৪ সালে ‘মুজিব’ শুমারী তে পাওয়া যায় ১৩.৫% হিন্দু ! সামরিক সরকার যতদিন ছিলো ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান পরিবর্তনের পর নিয়ম মত অন্য ধর্মের লোকেরা নাগরিকত্ব হারায় কিন্তু পিঠে হাত বুলায়ে বুঝানো হয় সব ধর্মের সমান অধিকার, অনেক টা জমি কাগজে কলমে টিপসহি নিয়ে বলা হলো ভোগ করতে থাকো, তখন থেকেও হিন্দুরা যেতে থাকেন! ১৯৯৬ তে একটু যাওয়ার স্রোতে ভাটা পড়ে! ২০০১ কাফের গনিমাতের মাল ভোগ করলে গোনাহ নাই তাই জোট সরকার নির্বাচনে জয়লাভের পর হিন্দু গনধর্ষনের শিকার হয় এবং তখন তারা বুঝে ফেলে এদেশ আমার না!

 

এখন হিন্দু সংখ্য ২০২২ শুমারী মতে, ৭.৯৫% । তবে হিন্দু এখন চলে যাবেই কারন এই সরকার পরিবর্তন হবে না এমন তো নয়, যারা আসবেন, আবার ২০০১ সালের মত সরকারি নির্দেশে সংখ্যা লঘু গনধর্ষনের শিকার হবেন না কে বলতে পারে! বর্তমান সরকার আমলে হিন্দু এলিট শ্রেনী বড় বড় চাকুরী নিয়ে বাংলাদেশে এক পা অন্য পা ভারত কানাডা মালয়েশিয়া, জরিপ করে দেখুন অনেকের বউ সন্তান ভারত বা অন্য কোথাও এখানে পয়সাটা পকেটে নিচ্ছেন শুধু তারপর পাড়ি দিবেন, অতএব হিন্দু কমা একটা চলয়মান প্রক্রিয়া!

 

বিঃ দ্রঃ অভাবী গরীব দিন এনে দিন খাওয়া গা গ্রামে বা শহরতলিতে বসবাস রত সংখ্যা লঘূরা যারা না খেয়ে থেকেও এদেশ কে নিজদেশ ভাবে, এখানে ই কবর শ্মশানে পুড়তে চায় তারা কতটুকু ভালো আছেন,তারা কি নেতা পাতি নেতাদের ভুমি দস্যুতার শিকার কিনা তা আলোচনার বিষয়!

 

ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালবাসেন।

নিজ ধর্ম মন দিয়ে করেন। আল্লাহর ভুরি ভুরি পাপ করেন ক্ষমা পাবেন কিন্ত বান্দার সরিষা পরিমান অন্যায় আপনাকে নরকে নিবে তার ক্ষমা পাবেন না কাজেই কুটিল মন পরিষ্কার করেন, ধর্ম মনের সাথে যোগ দর্শনে নয় না-বুঝে গলাবাজি তে নয়! সোজাসাপটা কুরআনের তরজমা শুনেন ফজর নামাজের পর নিজেই কিছু বুঝুন! তখন আর পাঁচ টাকার টিপ নিলে কোন নারীকে বেশ্যা বলবেন না! ৬ টা সহি হাদিস আছে পড়তে পারেন তবে হাদিস ও জাল হয়েছে তাই কুরআন তর্জমা শুনে ইসলাম বোঝেন!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

সর্বাধিক পঠিত