
লেখক ঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
তাং ঃ ০৪.১১.২০২৩
বাংলাদেশের জনগন সবসময় চায় অদলবদল রাজনৈতিক দলের শাসন। তাতে তাদের একটা মাত্র সুবিধা সব দলের লোকাল নেতা পাতি দের অত্যাচার থেকে বাঁচতে পারে এবং এসব লোকাল নেতা রাও মনে রাখে পাঁচবছর পর দাপট থাকবে তো? কিন্তু জনগনের এই সুন্দর চাওয়া-পাওয়ায় কুড়াল মেরেছে কিছু অপক্ক রাজনৈতিক দলের একটার পর একটা ভুল সিদ্ধান্ত! সে আলোচনা অনেকবার করেছি!
এখন সবশেষে বড় বিরোধী দল “বিএন ও তার অঙ্গ জামাত হেফাজত” যে “মার্কিন ইসরায়েল” প্রেসক্রিপশনে চলছে তাদের ও উপদেশ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড না চালিয়ে গান্ধী নীতিতে এগিয়েই যাও, মার খাও, বিশ্ব দেখুক সরকার কত খারাপ, অগণতান্ত্রিক, অমানবিক! এদেশের বিএনপি নেতৃত্ব সে ভাবে এগুতে চায় কারন তারা সব ভদ্রলোক তা নয়, মার খাওয়া জেল খাটা নেতা নাই! গ্রামেগঞ্জের সমর্থক কম না কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতারা দুর্বল! তাছাড়া মার্কিন ইসরায়েল গুরুর বাইরে যেতে চায় না, ভরসা বাইডেন স্যার ও নেতানিয়াহু!
জনাব তারেক জিয়া ও তদ্বীয় মাতা খালেদা জিয়া আজীবন তাদের বাবা /স্বামীর দুই মাজায় দুটো রিভলবার ও এসএলআর সজ্জিত পাহারাদার দেখে অভ্যাস্হ, তাহারা সেই সেনানিবাসে গড়া মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারেন নাই তাই রাজনৈতিক ভদ্রতা শিষ্টাচার আয়ত্তে ও মা ছেলে আনেন নাই আর এজন্য ভারতের “প্রনব বাবুকে” পাত্তা দেন না, বাসায় দেশের প্রধানমন্ত্রী গেলে গেট খোলেন না, গুলি ব্রাশ ফায়ার সন্ত্রাস ষড়যন্ত্র মাথায় গিসগিস করে!
২৮ শে অক্টোবর ঢাকার নেতারা মার্কিন উপদেশ মত চলতে চাইলে ও লন্ডনে চেয়ারম্যান সাহেব লাশ চাইলেন, এ বিষয় “ফখরুল রেজভি “কোনমতে রাজী না হলে “তারেক সাহেব” আলাপ করেন তার নিজস্ব বাহিনী নেতা “জানায়েদ সাকির ” সাথে! পুলিশ হত্যা, বাসে আগুন, পুলিশ হাসপাতালে আগুন, প্রধান বিচারপতির বাসা আক্রমণ, বাইডেন উপদেষ্টা সাজানো, লাগাতার হরতাল আন্দোলন এমন সব অপরিনামদর্শী কাজগুলো বিশেষ করে লন্ডন ভিত্তিক নির্দেশনা বলে বিভিন্ন দেশের পত্রিকা ঘেটে, সাংবাদিক নঈম (কোরিয়া) শুনে, আমার অননুমেয়!
তার থেকে খারাপ লেগেছে “রেজভি আমীর খসরুদের
আলাদা আলোচনা সভার সুযোগ নিয়ে অনেক সাংবাদিক বিভিন্ন পত্রিকায় লিখেছেন,” বিএনপি তে ভাঙনের সুর! ঐ দিকে “তৃণমূল বিএনপি” তো ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে একস্ট্রা!
প্রিয় পাঠক, পাঁচ বছর আগে আমি আপনি তিনি সে ভাবতাম, “রাজা আসুক রাজা যাক,” কিন্তু আজ একই সুরে সুর মিলাতে অনেক ভাবতে হয়,
১. দেশ বিশ্ব ভু-রাজনৈতিক টপ গিয়ারে, ব্যবসা বানিজ্যিক বৈচিত্র্যে চায়না ভারত ও প্রতিদ্বন্দ্বী।
২. দেশ মার্কিন টার্গেটে ১৯৭১ এর মত, পিটার হাস কর্মকান্ড তা বার বার মনে করায় দেয়।
৩. আপনারা যতই বকা দেন তবুও বলবো, বাংলাদেশ প্রেমিক আওয়ামীলীগ V S বিএনপি + জামাত + হেফাজত সমান পাল্লায় মাপা যায় না! মাপা যায় না
জ্ঞান বিজ্ঞান পরিপক্বতা শিক্ষা অভিজ্ঞতা পরবেশ তারেক জিয়া V S সজীব ওয়াজেদ + পতুল কে এক পাল্লায়! জিয়া উত্তরসূরী ও শেখ হাসিনা উত্তরসূরি এক না!
বিএনপির সমর্থকেরা যেমন ধরুন “ডঃ ইউনূস কে সন্মান শ্রদ্ধা করি তবে তিনি বাংলাদেশের মানুষ এমন টা এদেশের জনগনের জীবন যাত্রায় কোন অনুভব অনুভূতি ছোয়াস নাই। সোজা কথা বিএনপি ক্ষমতায় আগের মত ভাবতে গেলে মনে হয় দেশ মার্কিন হাতে
চলে যাবে, এদেশে মার্কিন ঘাটি মানে চিরতরে বাংলাদেশ শেষ সাথে চীন রাশিয়া আরব দেশগুলোকে বাগে আনতে ব্যাপক হত্যা যজ্ঞ চালাবে মার্কিন রা, বিশ্ব এক বাংলাদেশের ভুল সিদ্ধান্তে ২০০/৩০০/৫০০ বছর পিছে চলে যেতে পারে কারন চীন রাশা ইরান তুরস্ক সৌদি আরব ব্লগ শেষ মানে কোন প্রতিবাদী আর মাথা তুলতে দেবে না মার্কিন রা! ——- ভারত জন ভারে নূজ্য
গরীব দেশ ভেঙে টুকরো টুকরো করে দেবে। ভারত ভাগ হলে আমাদের কি ক্ষতি? অনেক ক্ষতি, বর্তমান বৃহৎ ভারত সুলভ আচরন পাল্টে যাবে, আক্রান্ত হবো আমরা প্রতিটি ক্ষুদ্র ভারত রাস্ট্র থেকে আফ্রিকা দেশগুলোর মত, তারা আপনার সুন্দর জীবন চাইবে না বরং তাদের দারিদ্র্যতায় আপনার খাবার প্লেট কেড়ে নেবে যা এখন বৃহৎ শক্তিধর ভারত ভাবে না আমরা এত সৌখিন কেন তারা কেন অভুক্ত, একথাতো সত্যি ৮০% ভারতীয়দের থেকে আমাদের জীবন মান হাতখরচ উন্নত বাকী ২০% জমিদার, তাদের না ই বা টানলাম!
আমার বিশ্লেষণ টা ভুল ভাবে না নিয়ে অনুগ্রহ করে দেশপ্রেমিক নাগরিকের মত বুঝার চেষ্টা করবেন অনুরোধ! এই মুহূর্তে বাঙালিদের এমন ভাবনা মনে আসার যথেষ্ট কারন আছে কিনা? আমরা স্রোতে গা ভাসালে বিশ্ব নাকাল হবে শত-শত বছর, এগিয়ে যাওয়া দক্ষিণ এশিয়ার মাজা ভাঙবে আগে, ইউরোপ তো তার হাতে, তবুও দুর্ভিক্ষ তৈরি তে পিছপা হয় নাই গ্যাস লাইন উড়ায় দিয়ে !
অনুগ্রহ করে পড়ুন এবং বুঝুন এমন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সিন্ধান্ত ভুল হলে ঘটার শত ভাগ সম্ভবনা দরজায় খাড়া কিনা?