মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৫, ২০২৩

মানুষের রক্তে স্নাত মার্কিন মানবতা

আপডেট:

লেখক ঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।

তাং ঃ ১৫. ১০.২০২৩

বিজ্ঞাপন

গনতন্ত্র মানবাধিকার মানবতা মনুষ্যত্ব ধর্মীয় সহানুভূতি “মার্কিন স্টাইল” সব সময় “রক্তের হোলি খেলা” এবং অস্ত্রের ব্যবসা চালু রাখা! শুনে আশ্চর্য হবেন গোয়েন্দা সংস্থা ফাস করেছে, হামাস ইসরায়েল আক্রমণ করবে তা নেতানিয়াহু জানতেন কিন্ত বিশ্বের চতুর ইসরায়েল গোয়েন্দা সংস্হা “মোসাদ” জানতো না! তিনি গোপন রেখেছেন, তাহলে কি বাইডেন স্যার ও জানতেন? কেন আপোষে হামাস কে আক্রমণ করতে দেয়া?

১.নেতানিয়াহু কে আবার ক্ষমতায় আনা (সামনে নির্বাচন)

বিজ্ঞাপন

২. বাইডেন স্যাররা যে বোকাদের কাছে অস্ত্র গোলাবারুদ বিক্রি করে বিশ্বে ৮০০ সেনা ঘাটি পালন করেন সে বোকারা চালাক হয়ে গেছে (সৌদি বছরে মার্কিন মোট বিক্রিত অস্ত্রের ৩৭% কিনতেো, মিশর ১৭% কুয়েত কাতার বাহারাইন আমীরাত ইত্যাদি, জুজু নামক ইরানের ভয় দেখাতো , এখন সে ভয় নাই , এখনও ভারতকে পাকিস্তান চীনের ভয় দেখায়, হংকংকে চীনের ভয়)!

মার্কিন অস্ত্র তো রান্নার কাজে কেউ কিনবে না, ইউক্রেন যুদ্ধ বাঁধিয়ে ভেবেছিলেন লিথুনিয়া লাটভিয়া এস্তোনিয়া পোলান্ড রুমানিয়া বুলগেরিয়া এসব দেশে প্রচুর সেল হবে কিন্তু মার্কেট পায় নাই বরং মাঝখান থেকে মার্কিন পকেট থেকে ৫২ বিলিয়ন খরচ, চাঁদা পত্র পশ্চিমাদের কাছ থেকে যা পেয়েছেন তা নাই বা বললাম!

তাই পালক পুত্র ইসরায়েলকে শলাপরামর্শ, তুই কিছু কিনে নাও, কিন্তু কোন অজুহাতে কিনবে? নেতানিয়াহু কে টোপ সামনে তোকে ক্ষমতায় আনবো! নেতানিয়াহু পশ্চিম তীর

ইসরায়েলের অংশ করতে গত বার ক্ষমতায় থাকার সময় সংসদে পাশ করেছিলো!

প্রিয় পাঠক, মার্কিন টার্গেট ছিলো ইউক্রেন নিয়া তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে নামার! N A T O বিভক্তি দেখে সাহস হয় নাই!

আমার জানা মতে হাঙেরী সহ ছয়টা দেশ যুদ্ধে না যাওয়ার পক্ষে ছিলো। N A T O কে ফিলিস্তিন যুদ্ধে এক করতে পারবে হয়তা, ইজ্জত বাচে বাইডেন স্যারের! নেতানিয়াহু কে ঘুষ ক্ষমতায় বসানো এবং অস্ত্র কেনানো।

মার্কিন রাজনীতি মানুষের মাংস রাজনৈতিক কড়াইতে ঝলসানো এবং অস্ত্র গোলাবারুদ বিক্রি। তাইতো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রায় তিন কোটি মানুষ একা মার্কিনের হাতে বলি! ভাঙছে সোভিয়েত রাশা, যুগোস্লাভিয়া, রুমানিয়ার চষেস্কুকে পরিবার সহ ওপেন ফিল্ডে গুলি করে মারানো এমনি রক্ত স্মাত মার্কিন দেহ গত ৭৫ বছর। সে এবং তার রাস্ট্র দূত মিঃ পিটার হাস যখন মানবতা মনুষ্যত্ব গনতন্ত্র মানবাধিকার ধর্মীয় অমর বানী শোনায় তখন ইরাকের সেই সাংবাদিক কেন “জর্জ ডব্লিউ বুশ জুনিয়র” কে বক্তৃতার সময় জুতা ছুড়ে মেরে ছিলেন তার উত্তর পেয়ে যাই !

 

মুসলমান দেশ একমাত্র পাকিস্তান ছাড়া কারো কাছে পরমাণু অস্ত্র নাই সবাই তাই জানে, আসলে পরমাণু অস্ত্র আছে পাকিস্তান ইরান তুরস্ক! আগামীতে বাঙলাদেশ সৌদি আরব আমীরাত কাতার সহ ২৩ দেশ পরমাণু অস্ত্র ধারী দেশ হবে ইনশাল্লাহ ! আমার টাকা আছে আমি হাতী পালতে পারলে কিনবো তাতে মার্কিন অনুমোদন লাগবে কেন? ঐ হলো একই কথা, এমন সাক্ষী গোপাল জাতিসংঘের অনুমোদন কেন লাগবে?

 

কেউ যদি প্রশ্ন করেন তুরস্কের কাছে পরমাণু অস্ত্র আছে আপনার কাছে নতুন শুনলাম। হ্যা আছে তা আপনারা কেন সারা বিশ্ব জানে না! শুধু আমি আর বাইডেন স্যার জানি!

 

প্রিয় পাঠক, মার্কিন রা যেমন নির্দয় তেমনি নিঢ্ঠুর তেমনি

স্বার্থপর তেমনি নির্লজ্জ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রাশিয়া চীন সেনাদের অক্লান্ত চেষ্টায় বিজয় পায় “মিত্র শক্তি” !

যে জন্য রাশিয়ার ২ কোটি ২২ লক্ষ সামরিক বেসামরিক মানুষ মরে এবং চীনের ২ কোটি! অথচ জাপান জার্মানের

বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার জরিমানা আমেরিকা বৃটেন খেয়েছে রুশ চীনকে দেয় নাই! জার্মান রাশিয়াকে বেশী আঘাত করেছে কারন রাশিয়া ইহুদি দের আশ্রয় দিয়েছিলো! মার্কিন ভয় ছিলো একদিন রাশিয়া ভাগবাটোয়ারা বা পূঁজি বাদ কমিউনিজম যুদ্ধ হতে পারে তাই একই পক্ষে যুদ্ধ করে ও আমেরিকা সোভিয়েত ইউনিয়ন কে আপন ভাবে নাই এবং তাকে ঠেকাতে N A T O র প্রচুর পরমাণু অস্ত্র গোলাবারুদ তুরস্কে জমা করে,

সেই সব অস্ত্র তুরস্ক ফেরত দেয় নাই , তাই তুরস্ক পরমাণু অস্ত্রধারী। একজন্য বলেছি, আমি আর বাইডেন স্যার জানি! আপনারা ও জানলেন যদি ধৈর্য ধরে পড়ে থাকেন।

ফিলিস্তিন ইসরায়েলের যুদ্ধ হলে কি হবে এজন্য এই হিসাব কিতাব! লেবানন সেক্টরে হিযবুল্লাহ যুদ্ধ করছে, ইয়ামেনের হুতিরা যুদ্ধ করছে, ইরাক সেক্টরে যুদ্ধ হচ্ছে, হামাস ইসরায়েল ভিতরে যুদ্ধ করছে। ইরান মিশর মরক্কো সর্বাত্মক প্রস্তুতি তে আছে। চীন রাশা তুরস্ক সৌদি আরব কাতার কূটনৈতিক ও সম্মুখ সব চেষ্টায় আছে।

মার্কিন নির্লজ্জতা ক্যাপশনে দেখুন। ১৫ শো মানুষ মারা গেছে গাজায় মার্কিন বিদেশ মন্ত্রী ব্লিন্সকিন চীন বিদেশ মন্ত্রী কে বলছেন পাহারা দিতে আরবীয় অন্য দেশ এ যুদ্ধে না জড়ায়!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

সর্বাধিক পঠিত