সোমবার, ডিসেম্বর ৪, ২০২৩

রাতের আঁধারে ফেসবুকে প্রকাশিত ওলামা লীগের নীলনক্সার বিতর্কিত কমিটি বাতিল করার দাবিতে মানববন্ধন ওলামা লীগ 

আপডেট:


রনিকা বসু ( মাধুরী)

বিশেষ প্রতিনিধি:

বিজ্ঞাপন

 

আজ ১৭ জুন ২০২৩ইং রোজ শনিবার সকাল ১১.০০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের উদ্যোগে রাতের আঁধারে ফেসবুকে প্রকাশিত ওলামা লীগের বিতর্কিত কমিটি বাতিল করার দাবিতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

 

ওলামা লীগের সিনিয়র নেতা মুফতি মিজানুর রহমান মিজানী’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন হাফেজ মাওলানা সোলায়মান কিশোরগঞ্জী, আলহাজ¦ হাফেজ হাওলানা মুফতী মিজানুর রহমান মিজানী, হাফেজ মাওলানা আব্দুস সাত্তার, মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী, আলহাজ¦ মাওলানা আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন, আলহাজ¦ হাফেজ মাওলানা সাইফুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা ইদ্রিস আলম আল কাদেরী, হাফেজ মাওলানা আনোয়ার হোসেন জুয়েল, মুফতি মাওলানা মো. হাসানুজ্জামান চিশতী, মাওলানা সৈয়দ ইকবাল আহমেদ আজহারী, আব্দুল হালিম খন্দকার, মো. কায়সার-ই-আযম রানু, হাফেজ মাওলানা ইব্রাহিম, মাওলানা শওকত হোসেন সেলিমপুরী, মো. আব্দুস সবুর প্রমুখ।

 

মানবন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন রাতের আঁধারে ফেসবুকের মাধ্যমে ওলামা লীগের যে বিতর্কিত কমিটি প্রকাশিত হয়েছে তাতে দেখলাম ওলামা লীগের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে যারা রাজপথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে কাজ করে আসছে তাদের অনেককেই বাদ দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে যারা নির্যাতিত-নিপীড়িত ও জেল-জুলুমের শিকার হয়েছে তাদেরকে মূল্যায়িত করা হয়নি। এমনও লোককে কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে যারা কোনদিনই ওলামা লীগ করেনি। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যার নাম এসেছে কে সে আমিনুল হক ওলামা লীগের নেতারা কেউ তাকে চিনেনা। পরবর্তীতে আমরা জানতে পারলাম আমিনুল হক পাবনা থেকে আগত এবং ওলামা লীগে একজন অনুপ্রবেশকারী মূর্খ। উল্লেখ্য সভাপতির বাড়ি সিরাজগঞ্জ আর সাধারণ সম্পাদকের বাড়ি পাবনা। তাদের কাছে আওয়ামী ওলামা লীগ নিরাপদ নয়। শোনা যাচ্ছে সে জমাত-বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য বহু টাকার বিনিময়ে সাধারণ সম্পাদকের পদ ছিনিয়ে নিয়েছে। আমরা আশংকা করছি এদের দ্বারা যে কোন সময় ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের আবারো পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।

 

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন আমরা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ কর্তৃক স্বীকৃত ওলামা লীগের একটি সুন্দর স্বচ্ছ কমিটি চেয়েছিলাম। পরিতাপের বিষয় হলো আমরা ২০ মে ২০২৩ একটি সফল সম্মেলন করেছি কিন্তু প্রকাশিত কমিটির মাধ্যমে আমাদের কাঙ্খিত প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। কমিটির মধ্যে যেসমস্ত নতুন মুখ রয়েছে তারা কারা? তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ই বা কি তাও অজানা। সুতরাং সাধারণ সম্পাদক সহ যারা রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে তাদের বিষয়ে তদন্ত করা হোক। আমরা বিশেষ সূত্রে জানতে পারলাম সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক যারা প্রার্থী ছিলো তাদের বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করেছে। সে তদন্ত রিপোর্ট পাশ কাটিয়ে অর্থের বিনিময়ে তড়িঘড়ি করে হঠাৎ রাতে আঁধারে কমিটি প্রকাশ করা হয়। অতএব আমরা এই মানববন্ধন থেকে আওয়ামী লীগ এর সভাপতি বঙ্গকন্যা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নীলনক্সার বিতর্কিত ওলামা লীগের এই কমিটি বাতিলের জন্য জোর দাবি করছি এবং রাজপথের ত্যাগী নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি চাই।

 

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন বিতর্কিত কমিটিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জননেতা ওবায়দুল কাদের অনুমোদন দিয়েছেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কমিটির বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জানেন কিনা তাও স্পষ্ট নয়। সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় কমিটি প্রকাশিত না হওয়ায় এই সন্দেহের জম্ম হয়েছে। আওয়ামী লীগ দাপ্তরিকভাবেও ওলামা লীগের কমিটির বিষযে কোন প্রেসব্রিফ্রিং করেনি। আমরা দলের সভানেত্রীর নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল। আওয়ামী লীগের প্রতিটি সিদ্ধান্তের প্রতিও আমরা শ্রদ্ধাশীল। আমরা চাই ওলামা লীগের একটি সুন্দর ও স্¦চ্ছ কমিটি। দলের নীতিনির্ধারকদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা কথিত মুমিনুল ও আমিনুল কে বাদ দিয়ে ত্যাগীদের নেতাকর্মীদের মধ্য থেকে সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হোক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

সর্বাধিক পঠিত