
শান্তি-সম্প্রীতি ও সহাবস্থান বজায় রাখতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ’র দায়িত্বশীল আচরণ চাই। যারা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ তথা সমতা, ন্যায্যতা, বৈচিত্র্যময়তা এবং মর্যাদায় বিশ্বাসী তারা সংঘাত চায় না। যার যার এলাকায় শান্তি-সম্প্রীতি ও সহাবস্থান বজায় রাখতে হবে। এরজন্য স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। শনিবার (৩ জুন) সকাল ১০টায় মোংলার রিমঝিম চত্বরে পিস্ ফ্যাসিলেটেটর গ্রুফ পিএফজি’র আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা একথা বলেন।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন পিস্ ফ্যাসিলেটেটর গ্রুফ পিএফজি মোংলার সমন্বয়কারী সুজন সম্পাদক মোঃ নূর আলম শেখ।
মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, বিএনপি নেতা শেখ শাকির হোসেন, জাতীয় পার্টির নেতা এরশাদুজ্জামান সেলিম, সিপিবি নেতা কমরেড নাজমুল হক, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা মোঃ হারুন গাজী, জাসদ নেতা হাবিব মাষ্টার, নারীনেত্রী কমলা সরকার, ইয়ুথ পিস্ এম্বাসেডর সাংবাদিক শেখ রাসেল, ইয়ুথ পিস্ এম্বাসেডর ছাত্রলীগ নেতা শিকদার ইয়াসিন আরাফাত, ইয়ুথ পিস্ এম্বাসেডর সুষ্মিতা মন্ডল, ইয়ুথ পিস্ এম্বাসেডর ছাত্রদল নেতা মোঃ নাসির হোসেন, ইয়ুথ পিস্ এম্বাসেডর ছাত্র ইউনিয়ন নেতা মেহেদী হাসান বাবু প্রমূখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের শত্রুরা সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ফায়দা হাসিল করতে চায়। মানুষের জীবন-জীবিকাকে হুমকির মধ্যে ফেলে এবং শান্তি-সম্প্রীতি বিনষ্ট করে আর যাই হোক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায়না। পরমত সহিষ্ণুতা, বাক স্বাধীনতা, জনগনের সম্মতির শাসন ব্যবস্থা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ইত্যাদি গণতন্ত্র সফলতার অন্যতম শর্তাবলী। বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে বিদেশী হস্তক্ষেপ নয় রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সমঝোতা চাই। উন্নয়নের রোল মডেলের পাশাপাশি গনতন্ত্রেরও রোল মডেল হতে পারে বাংলাদেশ। মানববন্ধনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক কর্মী, ইয়ুথ লিডার, নারীনেত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার কয়েকশো মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনের আগে একই দাবীতে মোংলা রিকশা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে পিএফজি’র আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পিস্ ফ্যাসিলেটেটর গ্রুপ মোংলার সমন্বয়কারী মোঃ নূর আলম শেখ।