মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৫, ২০২৩

শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার  

আপডেট:

রনিকা বসু (মাধুরী)

বিশেষ প্রতিনিধি:

বিজ্ঞাপন

 

লায়ন আলহাজ্ব আবু তৌহিদ কেন্দ্রীয় সদস্য কৃষিও সমবায় বিষয়ক উপকমিটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তিনি বলেন ,পৃথিবীর ইতিহাসে অদম্য মনোবলে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশ, মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করেছেন যে মহান ব্যক্তিত্ব তিনিই বর্তমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু হয়তো যেভাবে চেয়েছিলেন তাই সেই সকল অসমাপ্ত কাজগুলো একের পর এক নিরবচ্ছিন্ন ভাবে দেশের মানুষের কল্যাণে এবং দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য নিবেদিত প্রাণে নিরলসভাবে নিজেকে উৎসর্গ করে দিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন বিশ্বনেতা আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গরত্ন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার অবদানে আজ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে নিজ যোগ্যতা অর্জনে বাংলাদেশের নাম সর্বত্রই বিরাজমান।

বিজ্ঞাপন

 

সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল, কীভাবে? তখন তো গ্যাস বিক্রি করার মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। তাহলে এখন তারা দেশ বিক্রি করবে, নাকি সেন্ট মার্টিন বিক্রি করার মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়? তিনি দৃঢ়তার সাথে আরো বলেন, ‘আমি এতটুকু বলতে পারি, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা, আমার হাত থেকে এই দেশের কোনো সম্পদ কারও কাছে বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে চাই না। ওই গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিলে আমিও ক্ষমতায় থাকতে পারতাম। আর এখনো যদি আমি বলি, ওই সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বা আমাদের দেশ কাউকে লিজ দেব, তাহলে আমাদের ক্ষমতায় থাকতে কোনো অসুবিধা নেই। আমি জানি সেটা। কিন্তু আমার দ্বারা সেটি হবে না।’

 

প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, বিরোধী দলের এখন নানা প্রস্তাব, এখন তারা আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে খালেদা জিয়ার (বিএনপি চেয়ারপারসন) উক্তি ছিল, ‘পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নাই’। একবার যেটা তারাই বাদ দিয়েছে এবং এই পদ্ধতি তারাই নষ্ট করেছে। তারাই রাখেনি, সেটাকে আবার তারা ফেরত চাইছে। অথচ উচ্চ আদালতের রায় আছে এবং সেই মোতাবেক সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে যে একজন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বা সরকারপ্রধান আরেকজন নির্বাচিত সরকারপ্রধান দ্বারাই প্রতিস্থাপিত হবেন। এর বাইরে অনির্বাচিত কেউ আসতে পারবে না। এটা উচ্চ আদালতের রায়ে আছে, সংবিধানেও আছে।

 

এটা জানার পরও সাংবিধানিক জটিলতার সৃষ্টি কেন করা হচ্ছে—এই প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, তার মানে এই যে গণতান্ত্রিক ধারাটাকে নষ্ট করা। এই যে দীর্ঘ সাড়ে ১৪ বছর বাংলাদেশ সুষ্ঠুভাবে চলছে, আর্থসামাজিক উন্নতি করছে, সেটিকে নষ্ট করা। দেশবাসী এটিকে কীভাবে নেবেন, সেটাই প্রশ্ন। তাঁরা কি গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা চান, অর্থনৈতিক উন্নতি চান, দেশের মানুষের কল্যাণ হোক সেটা চান, নাকি আবার সেই ২০০৭ সালের মতো তত্ত্বাবধায়ক সরকার, আবার সেই জরুরি অবস্থা, ধরপাকড় সেগুলো চায়—সেটা দেশের মানুষকেই বিবেচনা করতে হবে।

 

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আরো বলেন, নির্বাচন বানচাল করার জন্য বিএনপি-জামায়াত যেভাবে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, ৩ হাজার ৮০০ গাড়ি পুড়িয়েছে, তিন হাজারের ওপরে মানুষকে পুড়িয়েছে। কত মানুষ পঙ্গু হয়ে আছে, কত পরিবার ধ্বংস হয়ে আছে। জ্বালাও-পোড়াও করে মানুষের ক্ষতিগুলো করে দিয়েছিল তারা, সেটা মানুষ এত তাড়াতাড়ি ভুলে যাবে?

 

ক্ষমতার মসনদে আসীন হতে বি এন পি এর কুচক্রী মহলের পরিকল্পনা আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা বুঝতে পেরেছেন আর তাই সকল প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে টানা তৃতীয় মেয়াদে বর্তমান সরকার জনগণের দোয়া আর ভালোবাসা নিয়ে ক্ষমতায় আছে। দেশ বিক্রি করলে বি এন পিই বিক্রি করবে, দেশের কোন ক্ষতি করলে বি এন পিই ক্ষতি করবে, কেননা মহা ধ্বংসযজ্ঞ ইতিপূর্বে একাধিক বার করেছে বি এন পি। দেশকে নিয়ে যড়যন্ত্র, দেশ ধ্বংসের নীলনকশা, দেশের মানুষের ক্ষতি করতে এমন ভুড়িভুড়ি নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত রয়েছে বি এন পির। আর তাদের প্রতিটি কুপরিকল্পনা দেরিতে হলেও অনুধাবন করতে পারেন আমাদের চৌকস দেশপ্রেমিক প্রধানমন্ত্রী বঙ্গরত্ন শেখ হাসিনা। যা শক্ত হাতে প্রতিহত করে আসছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।

 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হারাবার কিছুই নাই। কেননা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের কালো রাত্রিতে বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সকল সদস্যকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়। মহান আল্লাহ তায়ালার রহমতে বেচে গেছেন আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহেনা। পরিবারের সকলকে হারিয়েও সেই শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে আজ দেশের মানুষের কল্যাণে, দেশের মানুষের জন্যে বুনে যাওয়া বাবার সকল স্বপ্ন এক এক করে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন মানুষের কল্যাণে। আজকের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বহুবার হত্যার পরিকল্পনা করেও সেই খুনি জিয়ার উত্তরসূরীরা সফল হতে পারেন নাই। তারা আজো বিভিন্ন ভাবে বিতর্কিত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নকে ঈর্ষান্বিত হয়ে সকল উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্ত করতে বি এন পি একের পর এক কু পরিকল্পনা করেই যাচ্ছেন। অতীতে বি এন পি ক্ষমতায় এসেছিলো ১ কোটি ২৯ লক্ষ ভূয়া ভোটার বানিয়ে নির্বাচনে জিতেছিলো।

 

যেখানে প্রবৃদ্ধি থেকে মাথাপিছু আয়, পদ্মা সেতু থেকে বঙ্গবন্ধু টানেল, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তর; এসব কিছুই যার কারিশমেটিক নেতৃত্ব অর্জন তিনি দূরদর্শী বিচক্ষণ এক বিশ্বনেতা বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। তিনি এখন আর শুধু বাংলাদেশের নেত্রী নন, সারা বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়ে সমীহ পান পুরো বিশ্বের। অল্প সময়ের মধ্যে তিনি বাংলাদেশকে যেভাবে বদলে দিয়েছেন তাই তাকে বলা হচ্ছে ‘দ্য বাংলাদেশ মডেল’।

 

শেখ হাসিনার দূরদর্শি নেতৃত্বে এক দশক ধরে, পুরো বিশ্ব বাংলাদেশের অর্থনীতির অভূতপূর্ব অগ্রগতি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

সর্বাধিক পঠিত