
রনিকা বসু (মাধুরী)
- স্টাফ রিপোর্টার
৩ মাসের সাজা থেকে বাঁচতে এক বছর আত্মগোপন, অবশেষে গ্রেপ্তার
চেক ডিজঅনার মামলায় তিন মাসের সাজা থেকে বাঁচতে এক বছর আত্মগোপনে ছিলেন হোসনেয়ারা বেগম। আর পলাতক হোসনয়ারাকে গ্রেপ্তারে সাধুবাবা (সন্নাসী) সেজে অভিযান চালায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার এসআই রামকৃষ্ণ সরকার ও কনস্টেবল দেলোয়ার।
রোববার (২১ মে) উপজেলার তেলিপাড়া গ্রাম থেকে হোসনেয়ারাকে অভিনব কৌশলে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা যায়, বিভিন্ন এনজিও থেকে হোসনেয়ারা বেগম ঋণ নিয়ে সে টাকা আর পরিশোধ করেননি। এনজিওর কর্মকর্তাদের চাপে তিনি তাদের নামে দুটি ভুয়া চেক প্রদান করেন। চেক দুটি ব্যাংকে জমা দেওয়ার পর পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় ব্যাংক কতৃপক্ষ চেক দুটি ডিজঅনার করে ফেরত পাঠায়। এনজিও কর্তৃপক্ষ চেক ডিজঅনারের অভিযোগে ২০২২ সালে আদালতে দুটি মামলা করেন। দু’টি মামলায় হোসনেয়ারা বেগমের তিন মাসের সাজা হয়। সাজা হওয়ায় পর থেকে হোসনেয়ারা বেগম আত্মগোপনে চলে যান।
এদিকে হোসনেয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তারে মির্জাপুর থানার এসআই রামকৃষ্ণ ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন। কনস্টবল দেলোয়ারকে সঙ্গে নিয়ে সাধুবাবার ছদ্মবেশ ধারণ করে হোসনেয়ারা বেগমের বাড়িতে হাজির হয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
মির্জাপুর থানার এসআই রামকৃষ্ণ সরকার বলেন, সেবার ব্রত, ন্যায়নিষ্ঠা ও সততা নিয়ে পুলিশ বাহিনীতে কাজ করছি। যতদিন এ পেশায় থাকবো ততদিন নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাবো। এর আগেও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে অনেক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি।
মির্জাপুর থানার ওসি শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, এসআই রামকৃষ্ণ সরকার একজন দক্ষ ও চৌকস পুলিশ অফিসার। অপরাধ দমনে বিশেষ ভূমিকা রাখায় চলতি মাসে তিনি টাঙ্গাইল জেলায় শ্রেষ্ঠ পুলিশ অফিসার নির্বাচিত হন। অভিনব কায়দায় পলাতক আসামি গ্রেপ্তার করায় তাকে মির্জাপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাই।