
হাসির খবর, পড়িস
কুরবানী ঃ
আমরা মুসলমানরা অনেক খুশি এই কুরবানির ঈদে! কাল কোটি পশু জবেহ হবে, এক মক্কা হবে প্রায় ২ লাখ হাজির হাতে ২ লাখ পশু (হাজীর সংখ্যা নিশ্চিত নই)। আসলে আল্লাহ জীব হত্যা করলে ঝুশি হন? হিন্দু ধর্মেও বলি আছে!
কেনো কারো জীবন নিয়ে তিনি খুশি?
সারারাত শুনতে পেয়েছি পশুর ক্রন্দন, চীৎকার, আমাকে মেরো না। আমি চার তলায় বাস করি, সহধর্মিণীর ১০ ভাই বোনের ১১ টা ৪/৫/৬ তলা বিল্ডিং। ভর্তি অনেক ভাড়াটে, অনেকের সামর্থ্য আছে, কুরবানি দেন। বিল্ডিং গুলো সাজানো পাশাপাশি। সবার গাড়ী সরিয়ে গ্যারেজ এখন গো খাশী শালা হয়েছে। রাতে সব বিল্ডিং এর জবেহ পশুদের চীৎকার শুনে অশ্রু কোণ সিক্ত হলো!
সকাল থেকে দারুন বৃষ্টি, আমি সুন্দর পরিবেশ পেয়ে কবিতা আর্টিকেলে মত্ত হলাম। জার্মানি আমেরিকার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। তাদের মতে বিশ্বের সব অঘটন, অশান্তির মুল “আমেরিকা”! লিখলাম বিশ্বে কত মার্কিন ঘাটি নিয়ে —
ঢুকলাম কবিতা পড়তে, ইংরেজ কবি শেলীর, ” Ode to the west wind ”
এটা ও যুদ্ধ বিগ্রহের কবিতা, যেখানে হত্যা ক্ষয়ক্ষতির জীব জীবন মূল্যহীন। কবিতাটা history of Peter Loo massacre, কেউ সুযোগ পেলে পড়বেন।
আমি যখন “শেলির কবিতায়” আমার ছেলে এবং তার মা চলে গেছেন গরুর হাটে ছাতা এ বৃষ্টি মানার কথা না! গরু কিনে এনে আমাকে ছবি পাঠিয়েছেন গর্বভরে, আমি তখন “কবি শেলির” কবিতায় ধ্বংস যজ্ঞের ভিতর বুকে কষ্ট অনুভব করছি সাথে কুরবানির কোটি পশুর ক্রন্দন শুনতে পাচ্ছি।