
মিরসরাই প্রতিনিধি।।।
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে মিরসরাই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা কোরবানির জন্য খামারে মোটাতাজা করা হচ্ছে প্রায় ৬০ হাজার গবাদি পশু।
এর মধ্যে গরুর সংখ্যা রয়েছে ৪৩ হাজার ৫শ ৬৫টি এবং ১১ হাজার ৫শ ৬৩টি মতো ছাগল এছাড়াও ৫ হাজার ৬শ ১১টি মতো মহিষ রয়েছে। বাড়তি লাভের আশায় খামারের পাশাপাশি বাড়িতে বাড়িতে পশুর বাড়তি যত্ন আর লালন পালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারি ও প্রান্তিক কৃষকেরা। উপজেলা চাহিদার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন হাটের চাহিদা পূরণ করে এখানকার গবাদি পশু।
উপজেলা হিঙ্গুলী ইউনিয়নে পূর্ব হিঙ্গুলীতে অবস্থিত এসআইবি এগ্রো। এ বছর কোরবানির জন্য ১৫০টি ষাড় প্রস্তুত করেছেন। তার খামারে লাখ টাকা থেকে প্রায় আট লাখ টাকা দামের পশু মোটাতাজা করা হয়েছে। গরু কে খাওয়ানোর জন্য উন্নতমানের ঘাসের আবাদ করছে তারা। পাশাপাশি ঘাস গরুর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া খাওয়ানো হচ্ছে ভূসি, খৈল, খড়। গরম থেকে বাঁচানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ফ্যান এবং পানির ঝরণা।
এসআইবি এগ্রোর স্বত্ত্বাধিকারী সাইফুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, দফায় দফায় বেড়েই চলছে গো-খাদ্যের দাম। খামারিদের এখন প্রতিদিন গো-খাদ্যে খরচ বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ ভাগ। ন্যায্য মূল্যে গরু বিক্রি করতে না পারলে খামারিদের লোকসান গুনতে হবে। গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে কোরবানির পশুর দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া সীমান্ত এলাকা হওয়ায় ভারতীয় গরুর আধিক্য অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বেশি। ভারতীয় এসব গরুর কারণে প্রান্তিক খামারিরা লোকসান গুনতে হবে। প্রচুর পরিমাণে পাচার হওয়া ভারতীয় গরু সীমান্ত দিয়ে অবাধে ডুকছে।