
হযরত বেল্লালঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের ভাটি বৈরাল কাদেরের চর গ্রামে শিশু ননদ সাদিয়া আক্তারকে (৫) গলা টিপে হত্যা করেছে তার আপন ভাবি রাজিয়া বেগম। আদালত এবং থানা পুলিশের নিকট হত্যার দ্বায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন রাজিয়া বেগম। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকালে। মঙ্গলবার আদালতে রাজিয়া বেগম সাদিয়া আক্তারকে হত্যার দ্বায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। সাদিয়া ওই গ্রামের সাইফুল ইসলামের কন্যা এবং রাজিয়া বেগম সাদিয়ার আপন ভাই নূর মোহাম্মদের স্ত্রী।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে স্বামী বাড়িতে না থাকার কারণে রাজিয়া বেগমের শ্বশুর সাইফুল ইসলাম অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য রাজিয়া বেগমকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এতে রাজিয়া বেগম রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন অজুহাতে তাকে অত্যাচার করত শ্বশুড়, শ্বাশুড়িসহ পরিবারের সদস্যরা। সে কারণে রাগ ও ক্ষোপে শিশু ননদ সাদিয়া আক্তারকে গলা টিপে হত্যা করে বাড়ির পাশে তিস্তার শাখা নদীর কঁচুরি পানার নিচে রেখে দেয়। স্থানীয়রা শিশুর লাশটি দেখতে পেয়ে পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়। বিষয়টি জানতে পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশের সুরুতহাল রির্পোট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভাবি রাজিয়া বেগমকে থানায় নিয়ে আসে।
শ্বশুড় সাইফুল ইসলাম পুত্রবধুর স্বীকার উক্তিকে মিথ্যা বলে দাবি করেন। রাজিয়া বেগমের স্বামী নূর মোহাম্মদ বাড়িতে না থাকায় তার মতামত পাওয়া যায়নি।
থানার ওসি কেএম আজসিরুজ্জামান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজিয়া বেগম হত্যার দ্বায় স্বীকার করে। মঙ্গলবার রাজিয়া বেগমকে জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আদালতে পাঠানো হলে তিনি ননদ শিশু সাদিয়া আক্তার হত্যার দ্বায় স্বীকার করেন। এনিয়ে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।