
ঈদের দিনে
সুমন কান্তি বড়ুয়া
গগন পানে বাঁকা চাঁদের
ঝিলিক যেন পড়ে,
কোরবানির ঈদ এলো’রে
আজ সবার ঘরে।
গাঁয়ের হাটে শহর জুড়ে
বেচা কেনায় ধুম,
কিনবে গরু সবার সেরা
দু’চোখে নেই ঘুম।
হারাম রুজি করলে পুঁজি
আনবে ডেকে দুখ,
মনের পশু কোরবানিতে
আসবে ভবে সুখ।
প্রতিবেশী গরীব দুখি
দাও তাদের আগ,
সঠিক ভাবে দাও বিলিয়ে
কোরবানির ভাগ।
সম্প্রীতির এই রীতিতে
কেউ রবে না দুখে,
ঈদের দিনে বুক মিলিয়ে
হাসবো মোরা সুখে।
কোরবানি
তারিকুল হান্নান তারেক
আত্মশুদ্ধি করে হৃদয়
দিয়ে নফসের বলি,
মন সাজিয়ে মসৃণতায়
কোরবান দিতে চলি।
পশু জবাই করার আগে
চিত্ত সচ্ছ করি,
তারপর চালাই পশুর গলে
মহান রব’কে স্মরি।
লোক দেখানো কোরবান থেকে
চলো দূরে থাকি,
একটি ভাগ’কে বন্টন করি
গরিব লোককে ডাকি।
কোরবানি নয় জেতাজেতি
কারটা বড় কত!
প্রিয় পশু দিবো বলি
নিজের সাধ্য মত।
রব সন্তুষ্টির তরে মোরা
কোরবানি দেই সবে,
কুলষ মুক্ত থাকলে কোরবান
কবুল করবেন রবে।
ঈদ-উল আযহা
আরফাতুল ইসলাম
ঈদুল আযহা চলে এলো
খুশির জোয়ার নিয়ে,
ধনী লোকে কিনছে পশু
পশুর হাটে গিয়ে!
কত মজার ফিরনি পায়েস
তৈরি করবে ঘরে,
খেয়ে সবাই চলে যাবে
নতুন পোশাক পরে!
ঈদের নামাজ পড়ে এসে
করবে পশু জবাই,
ধনী গরীব মিলে মিশে
গোশত খাবে সবাই!
ধনী গরীব এক হয়ে সব
করবে কোলাকুলি,
বাসায় এনে গোশত দিয়ে
খাওয়াবে পিঠেপুলি!
আল্লাহ তুমি কবুল করো
সবার কোরবানি,
করো একটু দয়া করে
মোদের মেহেরবানি!
কোরবানির ঈদ
আরিফুল ইসলাম
আবার এলো বছর ঘুরে
কোরবানির ঐ ঈদ,
খুশি সবাই কিনবে গরু
গাইবে সুখের গীত।
গরীব-দুঃখী ওরাও খুশি
ঈদ- উল- আযহা এলে,
এবার তারা মাংস খাবে
পাড়া-পড়শী দিলে।
আল্লাহর উপর আস্থা আসে
তাকওয়ার হয় জয়,
আল্লাহ এক,অদ্বিতীয় সবে
তাঁকেই করে ভয়।
দয়ার প্রভু,স্রষ্টা সবার
খুশি হয় তাঁর মন,
রহমতের দু’হাত বাড়ান
জনকে জনে জন।
কোরবানির এই উছিলাতে
শুদ্ধ হোক মন,
ভালোবাসায় ভরে উঠুক
সকলের জীবন।